
জাখু মন্দির, শিমলা
Visit the iconic jakhu temple dedicated to Lord Hanuman in Shimla, Himachal Pradesh.


জাখু মন্দিরের আপডেট
জাখু মন্দির, শিমলা
শিমলার ঐতিহাসিক জাখু পাহাড়ের শিখরে অবস্থিত প্রাচীন "শ্রী হনুমানজির প্রতি নিবেদিত মন্দির"। কিংবদন্তি অনুযায়ী, লঙ্কার যুদ্ধে মেঘনাদের শক্তিশালী তীর দ্বারা লক্ষ্মণ অচেতন হয়ে পড়লে, শ্রী হনুমান আকাশপথে দ্রুত হিমালয়ের দিকে রওনা দেন প্রাণরক্ষাকারী "সঞ্জীবনী বুটি" আনতে। এই যাত্রাপথে তাঁর দৃষ্টি পড়ে "যক্ষ ঋষি"-র উপর, যিনি জাখু পাহাড়ে গভীর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই স্থানের নাম যক্ষ → যাক → ইয়াকু → জাকু হয়ে "জাখু" নাম ধারণ করে।




সঞ্জীবনী বুটির জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে হনুমান জাখু পাহাড়ে অবতরণ করেন। তাঁর অবতরণের অভিঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে এক সময় আকাশচুম্বী জাখু পাহাড়ের অর্ধেক মাটি খুঁড়ে নিচে ঢুকে যায়। বুটির প্রয়োজনীয় তথ্য লাভ করার পর, শ্রী হনুমান তাঁর মূল উদ্দেশ্যে — "দ্রোণগিরি পর্বতের" দিকে যাত্রা পুনরায় শুরু করেন।
যেখানে তিনি অবতরণ করেছিলেন, সেই স্থানে আজও তাঁর পবিত্র পদচিহ্ন রয়েছে, যা মূল মন্দিরের পিছনে একটি ছোট মার্বেলের কুটিরে সংরক্ষিত।
চলে যাওয়ার আগে হনুমান যক্ষ ঋষিকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি একই পথ ধরে ফিরে আসবেন। কিন্তু পথিমধ্যে অসুর কালনেমির ছলনায় তিনি মূল্যবান সময় হারান এবং তাড়াহুড়োয় একটি সংক্ষিপ্ত পথ ধরে জাখু পাহাড় এড়িয়ে ফিরে যান। অপেক্ষমাণ ঋষি, হনুমানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ঠিক তখনই হনুমান ঋষির সামনে আবির্ভূত হন, না ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করেন এবং এই ঐশ্বরিক সাক্ষাতের পর তৎক্ষণাৎ অদৃশ্য হয়ে যান।
তার কিছুক্ষণ পরেই, সেই স্থানে এক “স্বয়ম্ভূ হনুমান মূর্তি” আবির্ভূত হয় — যা আজও মন্দিরে বিরাজমান।


শ্রী হনুমানের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে যক্ষ ঋষি এই মন্দির নির্মাণ করেন এবং ভক্তির প্রতীক হিসেবে তাঁর কাঠের খড়ম (পাদুকা) রেখে অদৃশ্য হয়ে যান।
তখন থেকেই এই পবিত্র মন্দিরটি এখানেই অবস্থিত। জনবিশ্বাস, যিনি জাখু মন্দিরে শ্রী হনুমানজির উপাসনা করেন শুদ্ধ চিত্তে, তাঁর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। হনুমান তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন, সমস্ত অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করে।
🌺 যাত্রার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য (Jakhu Hill - এক আধ্যাত্মিক প্রতীক)
হনুমানের জাখু পর্বতে স্বল্প সময়ের অবস্থান এই কয়েকটি দিককে প্রতিফলিত করে:
🔱 বল ও উদ্দেশ্য:
দিব্য সত্তারাও তাড়াহুড়োর মধ্যেও সাধক ও পবিত্র স্থানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন। হনুমানের যাত্রা আমাদের শেখায় – কর্তব্য ও শ্রদ্ধা একসঙ্গে চলতে পারে।
🏔️ হিমালয়ের আশীর্বাদ:
হনুমানজির উপস্থিতি এই পাহাড়ে আধ্যাত্মিক শক্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে, যা জাখু পর্বতকে কেবল একটি প্রাকৃতিক উচ্চতা নয়, বরং এক অলৌকিক অনুগ্রহস্থানে রূপান্তর করেছে।
🧘 পথপ্রদর্শন:
ঋষিদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ কর্ম (হনুমান) ও জ্ঞান (ঋষি) – এই দুটি শক্তির ঐক্য বোঝায়।
🌄 উপস্থিতি:
বিশ্বাস করা হয়, হনুমানজি কখনও প্রকৃত অর্থে এই পাহাড় ছাড়েননি। তাঁর দেবত্ব আজও শিমলা ও তার মানুষদের রক্ষা করে চলেছে।
📜 ধর্মগ্রন্থ ও লোককথার ভিত্তি
যদিও বাল্মীকি রামায়ণে জাখুর নাম নেই, বহু আঞ্চলিক রামায়ণ, মৌখিক কাহিনি, এবং হিমাচল প্রদেশের লোকবিশ্বাসে হনুমানের জাখুতে অবতরণ সংরক্ষিত আছে।
হনুমান চালিসায় তাঁর অলৌকিক গতি ও কাজের উল্লেখ রয়েছে:
"লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে,
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে"
(“তুমি সঞ্জীবনী এনে লক্ষ্মণকে জীবিত করলে, আর শ্রী রাম আনন্দে তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরলেন।”)
স্থানীয়রা বলেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভক্তরা জাখুতে অলৌকিক দর্শন পেয়েছেন, হৃদয়ে অদ্ভুত শান্তি অনুভব করেছেন – যা এই কিংবদন্তিকে আধ্যাত্মিক সত্যে পরিণত করে।
✨ আজও জাখু পাহাড়ে বিরাজমান আধ্যাত্মিক শক্তি
আজও জাখু পাহাড় এক "তপস্থল" হিসেবে বিবেচিত।
ভ্রমণকারীরা এখানে এক গভীর নিরবতা, আশীর্বাদ ও দেবীয় শক্তির স্পন্দন অনুভব করেন। চারপাশের দেওদার বন, নির্মল বাতাস, ও নিঃসঙ্গ পরিবেশ যেন হনুমানজির স্পর্শে পূত হয়েছে।
🚩 ভক্তি ও তীর্থের ওপর প্রভাব
হনুমান জয়ন্তী এখানে অত্যন্ত ধুমধাম করে পালিত হয়।
ভক্তরা অনেক সময় নগ্নপদে পাহাড় চড়েন, যেন হনুমানের পথ অনুসরণ করছেন।
বানরদের হনুমানের সঙ্গী হিসেবে দেখা হয় এবং ভক্তরা তাদের খাওয়ান।
এই স্থান আজ শিমলা ও আগত দর্শনার্থীদের কাছে এক বিশ্বাস, সুরক্ষা ও সাহসের প্রতীক।
🔚 জাখু পর্বত শুধুই এক পাহাড় নয় – এটি ভক্তি ও আত্মিক সম্পর্কের উচ্চতম শিখর।
🛕 জাখু মন্দির, শিমলা: মেঘের ওপরে এক অলৌকিক শিখর
শিমলার সর্বোচ্চ শিখরে, ২,৪৫৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত জাখু মন্দির শুধুমাত্র এক উপাসনাস্থল নয় — এটি বিশ্বাস, পুরাণ এবং অপূর্ব হিমালয় সৌন্দর্যের এক প্রতীক। ভগবান হনুমানকে উৎসর্গীকৃত এই মন্দির তীর্থযাত্রী, প্রকৃতিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের আকর্ষণ করে।
🌄 অবস্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
রিজ থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে জাখু হিলের উপরে অবস্থিত মন্দিরটি শিমলা শহর, চারপাশের উপত্যকা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়গুলির মনোরম দৃশ্য উপহার দেয়। হেঁটে ওঠা বা কেবল কারে যাত্রা — উভয়ই সমানভাবে চিত্তাকর্ষক।
🧗♂️ যেখানে থেকে পৌঁছানো যায়
পায়ে হেঁটে: রিজ থেকে প্রায় ৩০-৪৫ মিনিটের একটি সুন্দর কিন্তু খাড়া ট্রেক
রোপওয়ে: প্রায় ৬ মিনিটের রোমাঞ্চকর এয়ার ভিউ সহ জাখু রোপওয়ে
ট্যাক্সি: রাস্তা সরু হলেও গাড়ি বা ট্যাক্সি সহজেই পৌঁছাতে পারে
🛕 মন্দিরে যা দেখতে পাবেন
উঁচু দেবদারু গাছের মধ্যে শান্ত পরিবেশ
প্রচুর বানর (সতর্ক থাকুন, কিন্তু সদয় হন)
পুরোহিতদের দ্বারা পূজা এবং নৈবেদ্য প্রদান
সর্বদিক থেকে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও বিস্ময়কর দৃশ্য
🕓 সময়সূচী
প্রতিদিন খোলা: সকাল ৭টা – রাত ৮টা
ঘুরে দেখার সেরা সময়: সকালে বা সূর্যাস্তের সময়
📸 ভ্রমণ টিপস
জিনিসপত্র সাবধানে রাখুন — বানররা ব্যাগ, চশমা বা খাবার ছিনিয়ে নিতে পারে
ট্রেকিং করলে আরামদায়ক জুতো পরুন
পানীয় জল ও হালকা খাবার সঙ্গে রাখুন
হনুমান জয়ন্তীতে এলে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব উপভোগ করতে পারবেন
✨ ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা
“আধ্যাত্মিক আবহ ও শীর্ষ থেকে দৃশ্য ছিল অবিস্মরণীয়। পাহাড়ের ওপর কুয়াশা গড়িয়ে পড়া আর মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি – এক অনুপম শান্তি।”
– প্রিয়া এস., দিল্লির পর্যটক
“শিমলার কোলাহল থেকে দূরে এক প্রশান্ত বিশ্রাম। রোপওয়ে যাত্রা ছিল অসাধারণ!”
– রাজীব এম., একাকী ব্যাকপ্যাকার
📍 নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
দ্য রিজ
ক্রাইস্ট চার্চ
মল রোড
স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট
কুফরি (বরফ ও অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাছাকাছি গন্তব্য)
জাখু মন্দির কেবল একটি মন্দির নয় — এটি এক অভিজ্ঞতা। আপনি যদি একজন আধ্যাত্মিক অন্বেষক, ইতিহাসপ্রেমী বা শান্তি খুঁজতে আসা পর্যটক হন, এই পাহাড়চূড়ার আশ্রয় আপনাকে স্পর্শ করবে নিরবতা ও বিস্ময়ে।
জাখু মন্দির গ্যালারি
জাখু মন্দির এবং এর আশেপাশের অত্যাশ্চর্য ছবিগুলি ঘুরে দেখুন।








জয় শ্রীরাম !!
জয় শ্রীরাম !!
মন্দিরে অবস্থিত হনুমানজির মূর্তিটি অত্যন্ত বিশাল। ভক্তদের বিশ্বাস, যদি কেউ আন্তরিক মনে এখানে এসে প্রার্থনা করেন, তবে তাঁর মনোবাসনা পূর্ণ হয়।




জাখু মন্দির
শিমলা, হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত বিখ্যাত জাখু মন্দির পরিদর্শন করুন, যা ভগবান হনুমানের উদ্দেশ্যে নির্মিত। এই মন্দির থেকে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে পারবেন এবং একটি অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
Location
Jakhu Hill, Shimla
Hours
7 AM - 8 PM
জয় শ্রীরাম !!
प्रभु हनुमान जी का जाखू मंदिर
ऐसी ही मान्यता है कि जब भगवान श्रीराम के अनुज लक्ष्मण, रावण के पुत्र मेघनाद द्वारा युद्ध में मूर्छित हो गए थे, तब भगवान हनुमान संजीवनी बूटी की खोज में द्रोणगिरि पर्वत पर जा रहे थे। इसी दौरान वे जाखू हिल पर कुछ समय के लिए रुक गए।
जय श्री राम!!
© 2024. copyright - Jakhu Mandir Shimla


ॐ हं हनुमते नम:
ॐ हं हनुमते रुद्रात्मकायं हुं फट्
ॐ हं पवननन्दनाय स्वाहा
ॐ नमो हरि मर्कट मर्कटाय स्वाहा
Developed by :